নোবিপ্রবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
প্রকাশিত : ২১:৩৫, ১ অক্টোবর ২০২০
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
আজ বৃহস্পতিবার নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষক অস্থায়ী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষকের পরবর্তী পদে পদোন্নতির সময়ও প্রায় ১ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, তাদের পরে স্থায়ী পদে নিযুক্ত শিক্ষকগণও পদোন্নতি পেয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মাঝে একধরণের বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও অনেকগুলো বিভাগেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে ২টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিভাগ পরিচালনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বলে অনেক বিভাগের শিক্ষকরা উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাছুটিতে যেতে পারছেন না। এতে করে শিক্ষকদের মাঝে উচ্চশিক্ষাজনিত একধরণের অনিশ্চয়তা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষক সমিতি সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মাঝে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময়সীমা বেঁধে দিই। মাননীয় উপাচার্য মহোদয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সাথে আলোচনা করে আমাদের বারবার আশ্বাস দিলেও আমাদের প্রদত্ত সময়ের মাঝে আমরা কোনো ফলাফল পাইনি। ফলে আমরা শিক্ষক সমিতি অস্থায়ী শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। শিক্ষক সমিতি আশা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বিষয়ে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্যের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সব পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে স্থগিত আদেশের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্থগিত আদেশ তুলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তার সংকট চললেও নতুন করে নিয়োগ দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরকে//
আরও পড়ুন